আল কাউসার,,

 

আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমান সময়ে আল কাউসার পত্রিকাটি পুরো বাংলাদেশে এমন এক জাগরণ সৃষ্টি করেছে, যা আলোর মত ছড়িয়ে পড়ছে মানুষের হৃদয় থেকে হৃদয়ে। এ যেন জ্ঞানের এমন এক প্রভাত, যার আলো ম্লান হয় না; বরং প্রতিটি সংখ্যার সঙ্গে নতুন করে উদ্ভাসিত হয় ইসলামী চেতনার দীপ্তি।

এই পত্রিকা আজ শুধুমাত্র একটি প্রকাশনা নয়; বরং এটি এক বুদ্ধিবৃত্তিক দাওয়াতি আন্দোলন, যা সমাজের প্রতিটি শ্রেণি ও পেশার মানুষের অন্তরে জাগিয়ে তুলছে দ্বীনের প্রতি ভালোবাসা, গবেষণার অনুরাগ এবং সঠিক চিন্তার দিশা। তালিবুল ইলম থেকে শুরু করে সাধারণ পাঠক পর্যন্ত—সবার জন্যই এতে রয়েছে জ্ঞানের খোরাক, ভাবনার উর্বরতা এবং আমলের প্রেরণা।

স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী—যারা আধুনিক শিক্ষার আলোয় আলোকিত, তারাও এই পত্রিকায় খুঁজে পান দুনিয়া ও আখিরাতের সমন্বিত চেতনা। আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা এতে খুঁজে পান ইসলামি বিদ্যার গভীরতর বিশ্লেষণ ও পরিশুদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি। অন্যদিকে কওমি মাদ্রাসার আসাতিযায়ে কেরামরা আল কাউসার–এর প্রতিটি সংখ্যায় পান দাওয়াতি দৃষ্টি, গবেষণামূলক রচনা এবং ইখলাসপূর্ণ চিন্তার সমাহার।

এই পত্রিকার বিষয়বস্তুর পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে, আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষিকারা যেমন এখান থেকে পান শিক্ষাদান ও তালীমের উপাদান, তেমনি সাধারণ পাঠকরাও পান জীবনবোধ ও আমলী জাগরণের স্পর্শ। এক অর্থে, আল কাউসার এমন এক আয়না, যেখানে প্রত্যেকে নিজেদের অবস্থান অনুযায়ী দ্বীনের সৌন্দর্য দেখতে পান।

আল কাউসারের প্রতিটি সংখ্যা যেন এক একটি নূরের প্রদীপ। এর লেখাগুলো শুধু কলমের আঁচড় নয়—এগুলো ইখলাসে ভরা হৃদয়ের প্রকাশ। গবেষণার গভীরতা, ভাষার মার্জিত সৌন্দর্য এবং দ্বীনের প্রতি আনুগত্য এই পত্রিকাকে করেছে অনন্য ও অবিস্মরণীয়।

সত্যিই, এই যুগে যখন ইসলামি সাহিত্য ও বিশুদ্ধ জ্ঞানের তৃষ্ণা বেড়ে চলেছে, তখন আল কাউসার পত্রিকা যেন এক সঞ্জীবনী স্রোতধারা হয়ে মুসলিম সমাজের আত্মাকে সজীব করে তুলছে। এর কল্যাণকর প্রভাব পৌঁছে যাচ্ছে প্রতিটি ঘরে, প্রতিটি অন্তরে, প্রতিটি শ্রেণির মানুষের জীবনে।

আমি আল কাউসার পত্রিকার একজন নিয়মিত পাঠক। আমার পাঠযাত্রার শুরুটা হেদায়াতুন্নাহু জামাত থেকে, আর সেই সময় থেকেই এই পত্রিকা আমার জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে আছে। মাসের শেষে যখন নতুন সংখ্যা প্রকাশিত হয়, তখন মনে হয় যেন প্রিয় কোনো অতিথি আগমন করেছে—যার প্রতিটি পৃষ্ঠা খুললে মেলে নতুন চিন্তা, নতুন উপলব্ধি ও নতুন প্রেরণা।

আল কাউসার–এর পাঠকদের পরিধি যত বিস্তৃত, তাদের রুচি ও আগ্রহের ক্ষেত্রও তত বৈচিত্র্যময়। কেউ ভালোবাসেন “খবর অতঃপর”–এর বিশ্লেষণাত্মক পর্যালোচনা। যেখানে সমসাময়িক ঘটনাবলিকে ইসলামী দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়।কেউবা বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়েন “আপনি যা জানতে চেয়েছেন” শিরোনামের অধীনে প্রকাশিত প্রশ্নোত্তর অংশ—যেখানে দ্বীনের সূক্ষ্ম ও ব্যবহারিক বিষয়ে মুফতিয়ানে কেরামের প্রাঞ্জল ব্যাখ্যা মেলে। আবার অনেকে “আনওয়ারুল কুরআন” অংশের গভীর তাফসিরভিত্তিক আলোচনা পড়ে অন্তরে কুরআনের নূর অনুভব করেন।

অনেক আগ্রহী পাঠক আছেন, যারা মাসিক সংখ্যা হাতে পাওয়ার আগেই অধীর অপেক্ষায় থাকেন মুহতারাম উস্তাদ হযরত মাওলানা মুফতী আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ (হাফিযাহুল্লাহ)–এর লেখা পড়া ও বুঝার জন্য। তাঁর প্রাঞ্জল ভাষা, হৃদয়ছোঁয়া উপস্থাপনা ও গবেষণার গভীরতা পাঠকের মন ছুঁয়ে যায়। অন্যদিকে মুহতারাম হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক (হাফিযাহুল্লাহ)–এর দরসী ও দাওয়াতি রচনাগুলো পাঠকের চিন্তা ও আমলের জগতে নতুন প্রাণ সঞ্চার করে। তিনি শুধু লেখক নন, বরং পাঠকের হৃদয়কে সংশোধন ও জাগ্রত করার এক প্রেরণাদাতা।

তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে আল কাউসার–এর প্রতিটি লাইন, প্রতিটি বাক্য মনোযোগ দিয়ে পাঠ করি। কারণ আমি অনুভব করি—প্রত্যেকটি লেখা যেন কোনো না কোনোভাবে আমার চিন্তাজগতকে স্পর্শ করে যায়। কখনো যুক্তি দেয়, কখনো সংশোধন করে, কখনো বা নতুন এক আলো জ্বেলে দেয় হৃদয়ের কোণে। এ যেন এমন এক সঙ্গী, যে নীরবে আমার চিন্তাকে পরিশুদ্ধ করে, আমার কলমকে শুদ্ধতার পথে চালিত করে।

পাঠকের সঙ্গে আল কাউসার–এর সম্পর্কটি তাই শুধুই পাঠক–প্রকাশনার সম্পর্ক নয়; এটি এক আত্মিক বন্ধন। যেখানে লেখক ও পাঠক উভয়েই দ্বীনের খেদমতে একত্রিত হয়েছেন একটি পবিত্র উদ্দেশ্যে। এই পত্রিকার প্রতিটি শব্দ যেন পাঠকের অন্তরে ইলম, আমল ও ইখলাসের আলো ছড়িয়ে দেয়। এ কারণেই আল কাউসার কেবল একটি পত্রিকা নয়, বরং এটি একটি চলমান মাদরাসা—যেখানে পাঠক প্রতিনিয়ত শিখছে, বুঝছে এবং নিজের জীবনকে ইসলামের আলোয় গড়ে নিচ্ছে।

প্রত্যেকটি লাইন থেকেই আমি অনেক কিছু শিখতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ, এমন কোনো সংখ্যা নেই যে আমি তার কোনো অংশ পড়িনি বা বাদ দিয়েছি। কারণ প্রতিটি অনুচ্ছেদের ভেতরেই লুকিয়ে থাকে জ্ঞানের আলো, ইলমের সৌরভ, এবং দাওয়াতের আহ্বান। প্রতিটি লেখা যেন পাঠককে চিন্তার এক নতুন দিগন্তে নিয়ে যায়। তাই আমি কখনও ভাবিনি যে আল কাউসারের কোনো অংশ আমার জন্য অপ্রয়োজনীয়। বরং প্রতিটি বাক্য, প্রতিটি উদাহরণ, প্রতিটি হাওলা আমার অন্তরে গভীরভাবে রেখাপাত করেছে।

আমার এই পত্রিকার সাথে পরিচয়ের শুরুটা খুবই বরকতময় ছিল। যখন আমি মারকাযুল ইলমি ওয়াদ দাওয়াহ বাংলাদেশ মাদ্রাসায় অধ্যয়ন করছিলাম, তখন আল কাউসারের দায়িত্বে ছিলেন সম্মানিত ওস্তাদ হযরত মাওলানা মুফতি আব্দুস শাকুর সাহেব (হাফিযাহুল্লাহ)। তিনি আমাকে একবার বলেছিলেন — “তুমি হেদায়াতুন্নাহু জামাতের ছাত্রদের মধ্যে পত্রিকাটি বিতরণের দায়িত্ব নাও।” আমি বিনা দ্বিধায় এই দায়িত্ব গ্রহণ করি। তখন থেকেই পত্রিকার প্রতি আমার এক বিশেষ টান তৈরি হয়।

প্রথমে কাজটা ছিল শুধু পত্রিকা বিলি করা — কিন্তু ধীরে ধীরে আমি অনুভব করতে লাগলাম, এই কাজটা শুধুমাত্র একটি দায়িত্ব নয়; বরং এটি ছিল এক ধরণের ইবাদত। কারণ আমি বুঝতে পারলাম, আমি যেসব ছাত্রদের হাতে এই পত্রিকা তুলে দিচ্ছি, তারা এর মাধ্যমে দ্বীনের জ্ঞান আহরণ করছে, সমাজ ও উম্মাহ সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে। প্রতিবার আল কাউসার হাতে নেওয়ার আগে ও পরে আমি এক ধরণের প্রশান্তি অনুভব করতাম — যেন ইলম ও নূরের এক স্রোতে স্নান করছি।

দিন দিন এই সম্পর্ক আরও গভীর হলো। যখন আমি কাফিয়া ও শরহে বেকায়া জামাতে উঠলাম, তখনও এই দায়িত্ব আমার কাঁধে রয়ে গেল। এরপর জালালাইন জামাতে উঠার পর আমি লক্ষ্য করলাম, পত্রিকা কুরিয়ার থেকে এনে মাদ্রাসার আসাতিযায়ে কেরাম ও তালিবুল ইলমদের মাঝে পৌঁছে দেওয়ার কাজও আমাকে দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্বে থাকাটা আমার জন্য ছিল এক বিশাল সম্মানের বিষয়। কারণ এর মাধ্যমে আমি শুধু দায়িত্বই পালন করছিলাম না, বরং আল কাউসারের বরকত সবার মাঝে পৌঁছে দিচ্ছিলাম।

এরপর যখন আরও দিন যেতে লাগল, তখন আল কাউসারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক নতুন রূপ নিলো। এখন শুধু পত্রিকা বিলি নয়; বরং মারকাযুদ দাওয়াহ থেকে প্রকাশিত অন্যান্য বিশেষ সংখ্যা — যেমন “নারী সংখ্যা”“শিশু-কিশোর সংখ্যা” — এগুলোরও দায়িত্ব আমার ওপর অর্পণ করা হলো। এতে আমি আল্লাহর এক বিশেষ অনুগ্রহ অনুভব করলাম। কারণ একদিকে আমি ইলম অর্জন করছি, অন্যদিকে দ্বীনের প্রচারকাজেও অংশ নিচ্ছি।

আল কাউসারের প্রতি আমার ভালোবাসা দিন দিন আরও বৃদ্ধি পেতে লাগলো। আমি লক্ষ্য করলাম, পত্রিকার প্রতিটি কলাম, প্রতিটি প্রশ্নোত্তর অংশ, প্রতিটি সম্পাদকীয় লেখায় এমন কিছু থাকে যা আমার চিন্তাকে গভীর করে তোলে। “খবর অতঃপর” অংশে সমসাময়িক ঘটনাবলী ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে বিশ্লেষণ করা হয়, যা আমার দৃষ্টিকে প্রশস্ত করেছে। আবার “আপনি যা জানতে চেয়েছেন” অংশে এমন সব গুরুত্বপূর্ণ মাসায়েল আলোচনা করা হয় যা আমার নিজের আমল সংশোধনে সহায়ক হয়েছে।

আমি বিশেষভাবে দুটি প্রবন্ধ কখনও বাদ দেই না। প্রথমটি হলো হযরত মাওলানা মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ সাহেব হুজুরের লেখা, আর দ্বিতীয়টি হলো হযরত মাওলানা আব্দুল মালেক সাহেব হুজুরের লেখা। এই দুইজন বরেণ্য আলেমের কলমে আল্লাহর বিশেষ বরকত আছে। তাদের লেখার মধ্যে থাকে এক ধরনের জাযবা, ইখলাস ও দাওয়াতি উষ্ণতা, যা পাঠকের অন্তর স্পর্শ করে।

সাধারণত আমি পত্রিকা হাতে পাওয়ার সাথে সাথে এই দুটি প্রবন্ধ প্রথমেই পড়ে ফেলি। কারণ এগুলো আমার জন্য প্রেরণার উৎস। এই প্রবন্ধগুলো পড়ে আমি নিজের ইলমী চিন্তাকে আরও সুসংগঠিত করতে পারি। তারপর বাকি লেখাগুলো ধীরে ধীরে পড়ে সম্পূর্ণ সংখ্যাটি শেষ করি। এভাবে প্রতিটি মাসে আল কাউসারের সঙ্গে আমার এক নতুন সফর শুরু হয় — যেখানে আমি কখনও পাঠক, কখনও চিন্তাশীল ছাত্র, আবার কখনও একজন দায়িত্বশীল কর্মী হিসেবে নিজেকে অনুভব করি।

আলহামদুলিল্লাহ, আজও আমি নিয়মিতভাবে পত্রিকাটি পড়ি এবং এর মাধ্যমে অসংখ্য বিষয়ে উপকৃত হই। আল কাউসার আমার কাছে শুধু একটি পত্রিকা নয়, বরং এটি যেন এক চলমান পাঠশালা — যেখানে প্রতিমাসে আমি নতুন কিছু শিখি, নতুনভাবে দ্বীনের দিকে ফিরে আসার অনুপ্রেরণা পাই।

এই পত্রিকাকে ঘিরে আমার যে অনুভূতি, যে মমতা—তা ভাষায় প্রকাশ করা সত্যিই কঠিন। প্রতিটি সংখ্যার প্রতিটি লেখা আমার জন্য যেন এক একটি নূরের জানালা, যার ভেতর দিয়ে আমি দুনিয়ার অন্ধকারের মাঝে আলো খুঁজে পাই। কখনও মনে হয়, আল কাউসার শুধু একটি পত্রিকা নয়, বরং এটি এক সজীব দ্বীনি বিদ্যালয়, যেখানে কলমের কালি রক্তের মতোই প্রবাহিত হয়—জীবন্ত, হৃদয়স্পর্শী, ও প্রেরণাদায়ক।

আজ যখন আমি পেছনে ফিরে তাকাই, তখন দেখি, আল কাউসারের সাথে আমার বন্ধন শুধু পাঠক হিসেবে নয়; বরং এক প্রিয় সহচরের মতো। এই পত্রিকার প্রতিটি সংখ্যা আমার জীবনের একটি অধ্যায়, আমার চিন্তার একটি ধাপ। কত সময় যে আমি এর লেখাগুলোর মাঝে নিজেকে খুঁজেছি, তা গোনা যাবে না। কখনও কওমি জীবনের ক্লান্তির মাঝে এই পত্রিকা আমাকে নতুন শক্তি দিয়েছে, কখনও এর প্রবন্ধ আমার মনকে প্রশান্ত করেছে, কখনও আবার এর কলাম আমার অন্তরের ভাবনাগুলোকে পরিশুদ্ধ করেছে।

আমি জানি, এই লেখা হয়তো ছোট রাখাই উচিত ছিল। কিন্তু হৃদয়ের গভীর থেকে আসা ভালোবাসা যখন কলমে ধরা দেয়, তখন সে ভালোবাসা আর থামতে চায় না। তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও লিখতে লিখতে কিছুটা লম্বা হয়ে গেল। তবে পাঠকের অন্তরে যেন কোনো ক্লান্তি না আসে, সেদিকেও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করেছি। মূলত আমি চেয়েছিলাম এই ক্ষুদ্র অভিব্যক্তির মধ্যে আমার সমস্ত অনুভূতিগুলোকে সংক্ষেপে প্রকাশ করতে, কিন্তু যখনই আল কাউসারের নাম আসে, শব্দগুলো যেন নিজেরাই দীর্ঘ হয়ে যায়।

অতএব, যদি কোথাও লেখার দৈর্ঘ্য বা আবেগের প্রবাহ কিছুটা বাড়াবাড়ি মনে হয়, আমি তার জন্য বিশেষভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। কারণ আমার উদ্দেশ্য ছিল না বড় করে লেখা, বরং হৃদয়ের কথাগুলোকে শ্রদ্ধা ও মমতার সঙ্গে প্রকাশ করা। আমি বিশ্বাস করি, যারা আল কাউসারের পাঠক, তারা আমার এই অনুভূতি সহজেই উপলব্ধি করবেন — কারণ এই পত্রিকা আমাদের সবার প্রিয়, আমাদের ইলমী জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

শেষ করার আগে শুধু এইটুকু বলতে চাই — আল কাউসার আমার কাছে শুধু একটি নাম নয়, এটি আমার দ্বীনি যাত্রার এক আলোকিত অধ্যায়। এই পত্রিকার প্রতিটি শব্দে, প্রতিটি প্রবন্ধে আমি খুঁজে পাই আল্লাহর দীনের দাওয়াত, ওলামায়ে কেরামের ত্যাগ, আর উম্মাহর প্রতি অগাধ মমতা। আল্লাহ তাআলা যেন এই পত্রিকাটিকে আরও দীর্ঘজীবী করেন, এর কলমধারীদের কলমে বরকত দান করেন, আর আমাদের সবাইকে এই আলোয় আলোকিত জীবন যাপন করার তাওফিক দান করেন—আামিন


মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা
মারকাযুল ইলমি ওয়াদ দাওয়াহ গেন্ডা, সাভার, ঢাকা, বাংলাদেশ।

Comments

Popular posts from this blog

“দ্বীনের দীপ্তি: ইসলামের মূল শিক্ষা”

স্মৃতির প্রাঙ্গণ ও মাধুর্যের ঋণ

📘 প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতি