পরীক্ষার প্রাক্কালে একটি ভাবনা
পরীক্ষার প্রাক্কালে একটি ভাবনা
মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা দ্বীনের দ্বীপ্তি
আলহামদুলিল্লাহ, সময়ের স্রোত আবারও আমাদেরকে এক নতুন অধ্যায়ের দোরগোড়ায় এনে দাঁড় করিয়েছে। পরীক্ষার মৌসুম উপস্থিত। চারপাশে এখন এক ধরনের নীরব প্রস্তুতির আমেজ বইছে। প্রত্যেক ছাত্রের মুখে এখন একটি অভিন্ন ভাব—কীভাবে এই মূল্যবান সময়কে কাজে লাগিয়ে কিতাবগুলো ভালোভাবে হল করা যায়। কারণ এ সময়টাই হলো পরিশ্রমকে পরীক্ষার সফলতায় রূপান্তর করার সময়।
কেউ হয়তো একা একাই নিজের মতো করে পড়ে, বারবার তাকরার করে, আবার কেউ বন্ধুর সঙ্গে বসে আলোচনা করে কিতাবের মর্ম বোঝার চেষ্টা করে। প্রত্যেকের পদ্ধতি ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু লক্ষ্য সবার একটাই—আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও পরীক্ষায় সফলতা লাভ। কারণ আমাদের এই পড়াশোনা কেবল পাস করার জন্য নয়; বরং আল্লাহর দ্বীন বোঝা ও মানুষের মাঝে তা পৌঁছে দেওয়ার জন্য।
পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই মনে হচ্ছে সময় যেন আরও দ্রুত পালাচ্ছে। অনেকে দুশ্চিন্তায় পড়ে, কেউ আবার আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে। কিন্তু এ সময় ভয় নয়, বরং তাওয়াক্কুলের সময়। আল্লাহ তায়ালার উপর পূর্ণ ভরসা রেখে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। কারণ যিনি পরিশ্রম করেন, আল্লাহ তাঁর শ্রমকে ব্যর্থ যেতে দেন না।
পরীক্ষার এই প্রস্তুতির মুহূর্তে আমাদের উচিত নিজের প্রতিটি কিতাব পুনরায় দেখা, যতটুকু সম্ভব মুখস্থ করা, এবং আল্লাহর কাছে দোয়া করা—তিনি যেন আমাদেরকে হিদায়াত দেন, বুঝ দান করেন, ও সহজ করে দেন সব কঠিন বিষয়। পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্যই হলো নিজের ভিতর থাকা জ্ঞানকে পরিমার্জন করা, আত্মবিশ্বাস বাড়ানো, এবং জীবনের পরবর্তী ধাপের জন্য নিজেকে যোগ্য করে তোলা।
তাই প্রিয় সহপাঠীরা, আসুন আমরা সবাই আজ থেকেই অঙ্গীকার করি—পরীক্ষার এই খেয়ারের সময় যেন অবহেলায় নষ্ট না হয়। প্রতিটি মুহূর্তকে যেন আমরা কাজে লাগাই। কিতাবগুলো শুধু পাস করার জন্য নয়, বরং আমলের উদ্দেশ্যে ভালোভাবে হল করি। যেন ভবিষ্যতের মেহনত আরও সহজ হয়, দ্বীনের খিদমতে আরও উপযুক্ত হতে পারি।
“اللهم علمنا ما ينفعنا وانفعنا بما علمتنا وزدنا علماً”
― হে আল্লাহ, আমাদের এমন জ্ঞান দিন যা আমাদের উপকারে আসে, এবং আমাদের উপকারী জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।
— মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা
Comments
Post a Comment