হাতের লেখার স্বপ্ন ও বাস্তবতার অভিযাত্রা
হাতের লেখার স্বপ্ন ও বাস্তবতার অভিযাত্রা
আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসানে আজ আমি এমন এক সত্যের মুখোমুখি, যা আমার হৃদয়ের বহু বছরের আকাঙ্ক্ষা বহন করে এনেছে। আল্লাহ তাআলা তাঁর অসীম দয়া ও রহমতের মাধ্যমে আমার অন্তরের লালিত স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছেন। যে স্বপ্ন নিয়ে আমি প্রতিদিন কাটিয়েছি, যে স্বপ্নের আলোয় ভবিষ্যতের পথচলা কল্পনা করেছি, অবশেষে সেটিই সত্য হয়েছে—আমার হাতের লেখা কোর্স শুরু হয়েছে।
বহুদিন ধরে আমার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছিল এক তৃষ্ণা, এক অদম্য সাধনা—একদিন আমি আরবি খত্তে নুসখার জগতে পদার্পণ করব। অক্ষরের জগৎ আমার কাছে শুধু আঁকিবুকি নয়, বরং সৌন্দর্যের শিল্প, নান্দনিকতার মণিমুক্তা। সেই শিল্পকে ধারণ করার বাসনা আজ বাস্তবে রূপ পেয়েছে। কোর্সটি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার, আর চলবে ইনশাআল্লাহ শুক্রবার পর্যন্ত। এই ক্ষুদ্র সময়ও আমার কাছে যেন একটি মহাসমুদ্র—যেখানে প্রতিটি মুহূর্ত মূল্যবান মুক্তোর মতো।
এর আগে হাতের লেখার জগতে কিছুটা প্রবেশ করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আংশিকভাবে রপ্ত হয়েছিল অক্ষরের রূপ, রেখার শৃঙ্খলা, কলমের মাধুর্য। কিন্তু আজ থেকে শুরু হলো পূর্ণাঙ্গ সাধনা, পূর্ণাঙ্গ শিক্ষা। এখন আমি চেষ্টা করছি প্রতিটি অক্ষরকে সাজাতে, প্রতিটি রেখায় শিল্পের নিখুঁত সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলতে। এমনভাবে শেখার মেহনত করছি, যাতে একদিন আমিও আরেকজনকে হাতের লেখা শেখাতে পারি। অক্ষরের এই শৃঙ্খলা শুধু আমার মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে অন্যের হৃদয়েও প্রবাহিত হোক—এটাই আমার প্রার্থনা।
হাতের লেখার সৌন্দর্য শুধুমাত্র দৃষ্টির আনন্দ নয়; এটি মানুষের অন্তরের সৌন্দর্যের প্রতিফলনও বটে। অক্ষরের পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে এক ধরণের শৃঙ্খলা, ধৈর্য ও নান্দনিকতা। এই নান্দনিকতার মধ্য দিয়েই একজন মানুষ তার মনন ও মেধাকে নতুনভাবে সাজিয়ে নিতে পারে। আমি চাই, আমার প্রতিটি অক্ষর হয়ে উঠুক সৌন্দর্যের দ্যুতি, আমার প্রতিটি শব্দ হয়ে উঠুক আলো ছড়ানো প্রদীপ।
সুতরাং, আগ্রহী পাঠকগণ! আমি আপনাদের নিকট বিনীত আবেদন জানাই—আমার জন্য দোয়া করবেন, যেন আল্লাহ তাআলা আমার এই মেহনতকে কবুল করেন। আমার স্বপ্নকে যেন আরও পরিপূর্ণতায় পৌঁছে দেন। যেন আমি হাতের লেখার এই শিল্পকে কেবল নিজের মাঝে সীমাবদ্ধ না রেখে অন্যদের মাঝেও বিলিয়ে দিতে পারি। আল্লাহ তাআলা আমাদের প্রত্যেকের অন্তরের সৎ আশা কবুল করুন। আমিন।
Comments
Post a Comment