ইসলামের সৌন্দর্য
ইসলামের সৌন্দর্য
ইসলাম এমন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা যা মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণের জন্য আল্লাহ তাআলা প্রেরণ করেছেন। এর সৌন্দর্য শুধু ইবাদত বা মসজিদের চার দেয়ালে সীমাবদ্ধ নয়; বরং জীবনের প্রতিটি অঙ্গনে, প্রতিটি সম্পর্কের ভিতরে ইসলামের দীপ্তি বিদ্যমান।
আখলাকের সৌন্দর্য
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: আমি উত্তম চরিত্র পূর্ণাঙ্গ করার জন্য প্রেরিত হয়েছি
(মুয়াত্তা মালিক)।
উত্তম আখলাক ইসলামের একটি মূল সৌন্দর্য। বিনয়, ধৈর্য, ক্ষমাশীলতা, দয়া, ভালোবাসা—এসব গুণাবলী একজন মুসলিমের অন্তরে
ফুটে ওঠে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়।
ইবাদতের সৌন্দর্য
নামাজ, রোজা, যাকাত ও হজ—এসব ইবাদত শুধু আনুষ্ঠানিকতা নয়, বরং মানুষের অন্তরকে পরিশুদ্ধ করে। নামাজ একজনকে অসৎ ও অশ্লীলতা থেকে বিরত রাখে (সূরা আনকাবূত: ৪৫)। রোজা ধৈর্য ও তাকওয়া শেখায়। যাকাত ধনী-গরিবের মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে। আর হজ মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রতীক।
সামাজিক সৌন্দর্য
ইসলামে প্রতিবেশীর হক, আত্মীয়তার বন্ধন, দান-খয়রাত, গরিব-মিসকিনের খোঁজখবর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন: যে ব্যক্তি তার প্রতিবেশীর ক্ষুধার্ত অবস্থায় পেট ভরে খায়, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয়
(হাদীস: বায়হাকি)।
এ ধরনের শিক্ষাই সমাজকে শান্তি ও ন্যায়ের আবাসস্থল করে তোলে।
শালীনতা ও পোশাকের সৌন্দর্য
ইসলাম শালীনতা শিখিয়েছে। পবিত্র কুরআনে এসেছে: হে আদম সন্তান! আমি তোমাদের জন্য পোশাক দান করেছি যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢেকে রাখে এবং শোভা বৃদ্ধি করে
(সূরা আ'রাফ: ২৬)।
ঢিলেঢালা ও পর্দানশীন পোশাকই ইসলামের সৌন্দর্যের প্রতীক।
ইসলামের সর্বজনীন বার্তা
ইসলাম শান্তি, ভালোবাসা ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ধর্ম। এটি কোনো জাতি, বর্ণ, ভাষা বা শ্রেণির জন্য সীমাবদ্ধ নয়।
আল্লাহ বলেন: আমি তোমাদেরকে জাতি ও গোত্রে বিভক্ত করেছি, যাতে তোমরা একে অপরকে চিনতে পার
(সূরা হুজুরাত: ১৩)।
ইসলামের এই বিশ্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গিই মানবতার প্রকৃত সৌন্দর্য।
ইসলাম একটি আলোর দিশারি—যা অন্ধকার সমাজকে আলোকিত করে এবং প্রতিটি হৃদয়কে শান্তি ও সৌন্দর্যে ভরিয়ে তোলে।
Comments
Post a Comment