মোবাইল ও খেলাধুলার আসক্তি থেকে বাঁচার প্রয়োজনীয়তা

মোবাইল ও খেলাধুলার আসক্তি থেকে বাঁচার প্রয়োজনীয়তা

মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা দ্বীনের দ্বীপ্তি 
 

ভাইয়েরা আমার, বর্তমান সময়ে মুসলমানদের ঈমান-আমল নষ্ট করার জন্য ইহুদি-খ্রিস্টানরা অসংখ্য ফাঁদ তৈরি করেছে। এ যুগে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল ফোন। এর ভেতরে যেমন কিছু উপকারী দিক রয়েছে—জ্ঞান অর্জন, দাওয়াত, যোগাযোগ, বই পড়া, শিক্ষামূলক কাজ—তেমনি রয়েছে নানান ক্ষতিকর দিক, যা মানুষের ঈমান-আমল ধ্বংস করে দিচ্ছে।

 খেলা দেখার আসক্তি

আমাদের অনেক ভাই মোবাইল ব্যবহার করে রাত-দিন খেলা দেখতে ব্যস্ত থাকে। কে জিতলো, কে হারলো—এটা জানা কি আমাদের জন্য জরুরি? এর দ্বারা আমাদের আখিরাতের কী উপকার হবে? আসলে আমরা বুঝতে চাই না, কেবল মজার জন্য দেখি। অথচ খেলা দেখার সঙ্গে রয়েছে অসংখ্য গুনাহের দরজা—সময় নষ্ট, চোখের গুনাহ, নামাযের অবহেলা, ইমানের দুর্বলতা।

কুরআনের সতর্কবাণী

﴿وَالَّذِينَ هُمْ عَنِ اللَّغْوِ مُعْرِضُونَ﴾ (سورة المؤمنون: 3)

অর্থ: যারা অনর্থক ও অর্থহীন কাজ থেকে বিরত থাকে, তারাই সফলকাম।

 হাদীসের নির্দেশনা

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ: «مِنْ حُسْنِ إِسْلَامِ الْمَرْءِ تَرْكُهُ مَا لَا يَعْنِيهِ» (رواه الترمذي)

অর্থ: মানুষের ইসলামের সৌন্দর্যের অংশ হলো, সে যেসব বিষয়ে তার কোনো দরকার নেই তা ছেড়ে দেয়া।

 মোবাইলের সঠিক ব্যবহার

  • ইলম অর্জন করা—কুরআন-হাদীস অধ্যয়ন, ভাষা শেখা।
  • ভালো লেখা পড়া ও লেখা।
  • দাওয়াত ও দ্বীনের খেদমত করা।
  • উপকারী টিউটোরিয়াল শেখা।

ভাইয়েরা আমার, যদি মোবাইল আমরা সৎ কাজে ব্যবহার করি, তাহলে তা হবে আমাদের জন্য নেকির খাজানা। কিন্তু যদি আমরা রাতভর খেলা দেখে সময় নষ্ট করি, তাহলে তা হবে গুনাহ ও ক্ষতির সাগর।

 শেষ কথা,,

তাই আসুন, আমরা সবাই নীয়ত করি—আমরা খেলা দেখবো না, গুনাহের কাজে মোবাইল ব্যবহার করবো না। বরং মোবাইল হবে আমাদের দ্বীনের খেদমতের মাধ্যম, ইলম অর্জনের হাতিয়ার, আর আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের একটি সোপান।

আল্লাহ আমাদের সকলকে মোবাইল ও প্রযুক্তিকে সঠিকভাবে ব্যবহার করার তাওফিক দান করুন। আমীন।

Comments

Popular posts from this blog

“দ্বীনের দীপ্তি: ইসলামের মূল শিক্ষা”

স্মৃতির প্রাঙ্গণ ও মাধুর্যের ঋণ

📘 প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতি