বন্ধুত্ব, নেয়ামত ও স্মরণীয় সন্ধ্যা
বন্ধুত্ব, নেয়ামত ও স্মরণীয় সন্ধ্যা
মানুষের জীবনে কিছু মুহূর্ত থাকে যা হৃদয়ের পাতায় অমর হয়ে থাকে। গত শুক্রবারের রাতও আমাদের জীবনে তেমনই এক মূল্যবান সময়। আমি, সাইফুল ভাই, মাহদী ভাই, আব্দুল মতিন ভাই এবং জামিল ভাই— আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে যাত্রা করলাম মুড়াপাড়ার প্রখ্যাত একতারা রেস্টুরেন্টে। আল্লাহ তাআলার অসীম কুদরতের প্রতিফলন আমরা সেদিন যেন নতুনভাবে উপলব্ধি করলাম।
চারপাশে সাজানো হরেক রকম খাবারের আয়োজন আমাদের চোখ ধাঁধিয়ে দিল। সত্যিই, আল্লাহ তাঁর বান্দাদের দ্বারা কত বৈচিত্র্যময় ও সুস্বাদু খাদ্যসামগ্রী তৈরি করাতে পারেন—এ এক বিস্ময়কর দৃশ্য। আমাদের কেউ বেছে নিলো মিষ্টি ফালুদা, কেউ উপভোগ করলো গরম বানরুটি আর রসালো গ্রিল। প্রত্যেক খাবারের মাঝে আমরা আল্লাহর রহমতের স্বাদ অনুভব করছিলাম।
তবে এই আয়োজনের সৌন্দর্য কেবল খাবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। বরং বন্ধুদের সাথে কাটানো সময়ই আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় নেয়ামত। আমরা একসাথে বসে শুধু খেয়েই থেমে থাকিনি; বরং বন্ধুত্বের মধুরতায় মগ্ন হয়েছি। আমাদের হাসি, গল্প আর আন্তরিক আলাপচারিতায় সন্ধ্যা হয়ে উঠেছিল আরও আনন্দময় ও রোমাঞ্চকর।
খাওয়া-দাওয়ার ফাঁকে ফাঁকে আমরা পড়াশোনার কথাও ভুলে যাইনি। কেউ আলোচনা করেছে পড়ার পরিকল্পনা নিয়ে, কেউ আবার শেয়ার করেছে নতুন শেখা কিছু জ্ঞান। যেন একসাথে বসে শুধু খাবার ভাগাভাগি নয়, বরং জীবনের অভিজ্ঞতা, স্বপ্ন ও আশা-আকাঙ্ক্ষারও বিনিময় হয়েছে। এর মধ্য দিয়েই আমাদের বন্ধুত্ব আরও দৃঢ় হয়েছে, আর শিক্ষা নিয়েছি— আল্লাহর নেয়ামত কেবল পেটে ভরে না, হৃদয়কেও পরিপূর্ণ করে।
সেদিনের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল আমাদের জন্য আনন্দের ঝরনা, কৃতজ্ঞতার স্রোত আর ঈমানি প্রশান্তি। আমরা দোয়া করি—আল্লাহ যেন এরকম মুহূর্ত আমাদের জীবনে বারবার দান করেন, যেন আমরা বন্ধুত্বের বন্ধন আরও দৃঢ় করি, জ্ঞান অর্জনের পথে অটল থাকি এবং আল্লাহর নেয়ামত ভোগ করতে করতে সর্বদা শুকরিয়া আদায় করতে পারি।
Comments
Post a Comment