আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রভাব ও সঠিক ব্যবহার
আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের প্রভাব ও সঠিক ব্যবহার
আলহামদুলিল্লাহ, আমি যখন আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞানের আলোকে কুরআন মজীদের আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা করেছি, তখন আমার অন্তরে নতুন এক অনুভূতির জন্ম হয়েছে। কুরআন পাঠ করার পর আমি উপলব্ধি করেছি যে বিজ্ঞানের প্রতিটি আলোচনাই কোনো না কোনোভাবে আল্লাহর নিদর্শনের সাথে সম্পর্কিত। যেমন, আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِنَّ فِي خَلْقِ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ وَاخْتِلَافِ اللَّيْلِ وَالنَّهَارِ لَآيَاتٍ لِأُولِي الْأَلْبَابِ
(সূরা আলে ইমরান: ১৯০)
এই আয়াতের গভীরতা নিয়ে চিন্তা করতে গিয়ে আমি অনুভব করেছি যে আধুনিক বিজ্ঞানের সমস্ত গবেষণা আসলে আল্লাহর সৃষ্টির রহস্য উন্মোচনেরই প্রচেষ্টা। আমি অনেক সময় নিয়েছি এ নিয়ে ভাবতে, আর এতে আমার চিন্তাশক্তি প্রসারিত হয়েছে।
আবার কুরআনে আল্লাহ তাআলা বলেছেন:
وَسَخَّرَ لَكُم مَّا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ جَمِيعًا مِّنْهُ
(সূরা জাসিয়া: ১৩)
আমি যখন এই আয়াতের উপর গভীরভাবে ভেবেছি, তখন মনে হয়েছে—বিজ্ঞানের প্রতিটি আবিষ্কার, প্রতিটি যন্ত্র, প্রতিটি প্রযুক্তি আসলে আল্লাহর পক্ষ থেকে মানুষের সেবার জন্য সহজ করে দেওয়া নিয়ামত।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন:
طَلَبُ الْعِلْمِ فَرِيضَةٌ عَلَى كُلِّ مُسْلِمٍ
(ইবনু মাজাহ)
এই হাদিস থেকে আমি শিখেছি যে জ্ঞান অর্জন শুধু দুনিয়াবী নয়, বরং ইলমুল কুরআন এবং আধুনিক বিজ্ঞান উভয়কেই সমন্বয় করা প্রয়োজন। আমি বহুবার ভেবেছি—যদি আমরা বিজ্ঞানের ব্যবহার সঠিক পথে চালিত করি, তাহলে মানবজাতির কল্যাণে বিশাল অবদান রাখতে পারব।
আমার ব্যক্তিগত অনুভূতি
আমি অনেক সময় নিয়ে এই বিষয়ে ভেবেছি যে, আধুনিক বিজ্ঞানের সঠিক ব্যবহার না হলে এটি হয়ে উঠতে পারে ধ্বংসের কারণ। কিন্তু যদি কুরআনের আলোকে ব্যবহার করি, তাহলে এটি হবে রহমত। আমার মনের ভিতরে গভীরভাবে এ অনুভূতি জন্ম নিয়েছে যে, বিজ্ঞানের মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত মানবতার কল্যাণ এবং আল্লাহর নিদর্শনকে চিনে নেওয়া।
শেষ কথা হল,,
সুতরাং আমি বলতে চাই—আধুনিক জ্ঞান-বিজ্ঞান ও কুরআন আলাদা নয়, বরং একে অপরের পরিপূরক। কুরআন আমাদের শিক্ষা দেয় চিন্তা করতে, আর বিজ্ঞান আমাদের শেখায় কিভাবে সেই চিন্তাকে বাস্তব রূপ দিতে হয়। যদি আমরা উভয়কে একত্রিত করি, তাহলে পৃথিবী আলোর প্রকৃত দিশা খুঁজে পাবে।
Comments
Post a Comment