হযরত মাওলানা আবু রাফফান সিরাজ সাহেব হুজুর

 

হযরত মাওলানা আবু রাফফান সিরাজ সাহেব হুজুর

মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা দ্বীনের দ্বীপ্তি 
 

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা তাঁর রহমতে আমাদের এমন এক নক্ষত্র দান করেছেন, যিনি উলুমুল হাদীসের আকাশে দীপ্তিমান আলোর মতো জ্বলজ্বল করছেন। সেই নক্ষত্রকে যদি আমরা অনুসরণ করি, তাঁর দিকনির্দেশনা মেনে চলি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের ভেতরে এক ভিন্নতর যোগ্যতা তৈরি হবে—একটি দৃঢ় ভিত্তি, যা আমাদেরকে হাদীস বিজ্ঞানে সুদক্ষ করে তুলবে।

আমি অত্যন্ত সৌভাগ্যবান যে, হযরত মাওলানা আবু রাফফান সিরাজ সাহেব হুজুর-এর দরসে বসার সুযোগ পেয়েছি। শুধু তাই নয়, সরাসরি তাঁর কাছ থেকে দরস করারও তাওফীক পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ!

রমজানের তাদরীবের স্মৃতি

গত রমজানে জামিয়াতুন নূর আল-ইসলামিয়া, দাসেরগাঁও, মদনপুর, নারায়ণগঞ্জে— যা হযরত মাওলানা আবুল হাসান আব্দুল্লাহ সাহেব হুজুরের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত— সেখানে উলুমুল হাদীসের উপর বিশ দিনব্যাপী তাদরীব অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আমি সেখানে অংশগ্রহণ করেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, সেই তাদরীব থেকে আমি অগণিত ফায়দা পেয়েছি। আগে যেখানে এ বিষয়ে আমার সামান্যতম ধারণাও ছিল না, সেখানে তাদরীবের মাধ্যমে অন্তত একটি ভিত্তি দাঁড় করাতে সক্ষম হয়েছি। সেই অর্জন আজও আমাকে উদ্বুদ্ধ করে, আলহামদুলিল্লাহ।

আমাদের নক্ষত্র

যাহোক, আমি বলছিলাম আমাদের নক্ষত্র, হযরত আবু রাফফান সিরাজ সাহেব হুজুর সম্পর্কে। বর্তমানে উলুমুল হাদীসের উপর তাঁর যোগ্যতা, তাঁর মেধা ও পরিশ্রম অতুলনীয়। আমরা যারা ছাত্র, আমরা সত্যিই ধন্য এমন একজন মানুষকে পেয়ে।

ছাত্রদের জন্য দিকনির্দেশনা

যারা ভবিষ্যতে উলুমুল হাদীসের উপর তাখাসসুস করতে চাও, তাদের অবশ্যই হুজুরের পরামর্শে, তাঁর তত্ত্বাবধানে থাকতে হবে। কারণ, সঠিক পথের সন্ধান পেতে একজন অভিজ্ঞ ও যোগ্য দিশারীর সঙ্গ অপরিহার্য। আর আলহামদুলিল্লাহ, সেই আলোকবর্তিকা আমাদের মাঝে উপস্থিত আছেন।

বর্তমান দায়িত্ব

বর্তমানে হুজুর মাদানীনগর মাদরাসার উলুমুল হাদীস বিভাগের মুশরিফ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ যেন আমাদের জন্য আল্লাহর এক অমূল্য দান।

আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা তাঁর রহমতে আমাদের এমন এক নক্ষত্র দান করেছেন, যিনি উলুমুল হাদীসের আকাশে দীপ্তিমান আলোর মতো জ্বলজ্বল করছেন। সেই নক্ষত্রকে যদি আমরা অনুসরণ করি, তাঁর দিকনির্দেশনা মেনে চলি, তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের ভেতরে এক ভিন্নতর যোগ্যতা তৈরি হবে—একটি দৃঢ় ভিত্তি, যা আমাদেরকে হাদীস বিজ্ঞানে সুদক্ষ করে তুলবে।

আমাদের নক্ষত্র

যাহোক, আমি বলছিলাম আমাদের নক্ষত্র, হযরত আবু রাফফান সিরাজ সাহেব হুজুর সম্পর্কে। বর্তমানে উলুমুল হাদীসের উপর তাঁর যোগ্যতা, তাঁর মেধা ও পরিশ্রম অতুলনীয়। আমরা যারা ছাত্র, আমরা সত্যিই ধন্য এমন একজন মানুষকে পেয়ে।

হুজুরের লেখালেখি ও অবদান

হুজুর এ বিষয়ে শুধু পারদর্শী নন, বরং উলুমুল হাদীসকে কেন্দ্র করে তিনি বহু সূক্ষ্ম ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লিখেছেন। তাঁর লেখায় আমরা পাই গভীর গবেষণার ছাপ, স্পষ্ট যুক্তি ও চমৎকার সাহিত্যরূপ। আমি ব্যক্তিগতভাবে তাঁর লেখা পড়ে অনেক উপকৃত হয়েছি এবং নিয়মিতই হচ্ছি।

তাঁর প্রসিদ্ধ একটি কিতাব হলো “উলুমুল হাদীস: কী, কেন, কীভাবে”। এ গ্রন্থটি অসাধারণভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং প্রাথমিক তালিবুল ইলমদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সত্যি বলতে, এটি শুধু একটি বই নয়, বরং উলুমুল হাদীসের দরজা খোলার এক চাবিকাঠি।

ফেসবুক পেইজ ও নিয়মিত দিকনির্দেশনা

হুজুর নিয়মিত তাঁর লেখাগুলো প্রকাশ করেন তাঁর ফেসবুক ভেরিফাইড পেইজে। আমরা যদি নিয়মিত সেই লেখা পড়ি, অনুসরণ করি, তাহলে আমাদের জ্ঞানের ভাণ্ডার আরও সমৃদ্ধ হবে। আমি নিজেও হুজুরের ফেসবুক পোস্টগুলোকে একত্রিত করে কম্পোজ করেছি— হুজুরের অনুমতি নিয়েই। কারণ, মোবাইল হাতে নিয়ে সব সময় পড়া যায় না। তাই বই আকারে সাজিয়ে রাখলে যেকোনো সময় মুতালাআ করা যায়।

আমাদের দোয়া

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হুজুরের লেখা থেকে উপকৃত হওয়ার তাওফীক দান করুন, তাঁর ইলম থেকে ফায়দা নেওয়ার সৌভাগ্য দিন। সর্বোপরি, আল্লাহ আমাদের সবাইকে উলুমুল হাদীসকে বুঝার ও এ বিষয়ে গভীরতা অর্জনের তাওফীক দিন। আমীন, ইয়া রব্বাল আলামীন।

✍️ লিখেছেন: মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা

Comments

Popular posts from this blog

“দ্বীনের দীপ্তি: ইসলামের মূল শিক্ষা”

স্মৃতির প্রাঙ্গণ ও মাধুর্যের ঋণ

📘 প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রস্তুতি