পোশাকের শালীনতা: ইসলামের সৌন্দর্য ও নৈতিক শিক্ষার আলোকে
পোশাকের শালীনতা: ইসলামের সৌন্দর্য ও নৈতিক শিক্ষার আলোকে
পোশাক আমাদের ব্যক্তিত্ব ও নৈতিকতার পরিচায়ক। ইসলামে পোশাক শুধু সৌন্দর্য প্রকাশের মাধ্যম নয়, বরং এটি শালীনতা, modesty এবং আত্মসম্মানের প্রতীক। বর্তমানে আমরা অনেক ক্ষেত্রে পোশাকে অশালীনতা করি। টাইট প্যান্ট, শর্টস বা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ প্রকাশকারী পোশাক পড়া আমাদের নৈতিক শিক্ষা ও ইসলামের আদর্শের পরিপন্থী। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সময়ে এমন পোশাক ছিল না। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন, শালীন ও ঢিলেঢালা পোশাক পরা যা আমাদের শরীরের আকারকে লুকায় তা অধিকতর প্রিয়।
আলেম ও উলামাদের পোশাক আমাদের অনুসরণের যোগ্য। আমাদের উচিত পাঞ্জাবি, পায়জামা বা জুব্বা পড়া, যা শরীরের কোন অংশ প্রকাশ করে না। সঠিক পোশাকের মাধ্যমে আমরা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব পালন করি এবং ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তুলি। শর্ট প্যান্ট বা টাইট পোশাক পরলে আমরা শুধু শারীরিক নয়, মানসিকভাবে ও অস্বস্তিতে পড়ি। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “যে ব্যক্তি ইসলামের সীমানা রক্ষা করে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম থেকে দূরত্ব রাখেন।” (বুখারি)
পোশাকের শালীনতা মানে শুধু ঢিলেঢালা পোশাক পড়া নয়, বরং এটির মধ্যে শালীন আচরণও থাকা। আমরা যদি আমাদের পোশাক এমনভাবে নির্বাচন করি যাতে শরীরের আঙ্গিক প্রকাশ না হয়, তাহলে সমাজে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটে ওঠে। এছাড়া, হিজাব বা আড়ম্বরহীন পোশাক আমাদের আত্মসম্মান রক্ষা করে এবং ইজ্জতের প্রতীক হিসেবে কাজ করে।
শালীন পোশাক পরার মাধ্যমে আমরা আমাদের মনকে ও চোখকে সংযমে রাখতে পারি। হাদিসে এসেছে: “নারী বা পুরুষ উভয়ই যেন তাদের চেহারা ও পোশাকে শালীনতা বজায় রাখে।” (তিরমিজি) পোশাক শুদ্ধ ও সুশৃঙ্খল রাখার মাধ্যমে আমরা কেবল দুনিয়ার নৈতিকতা নয়, আখিরাতের জন্যও প্রস্তুতি নিতে পারি।
সুতরাং, আমাদের উচিত টাইট, শর্ট বা অশালীন পোশাক পরিহার করা। ঢিলেঢালা, ন্যায্য ও ন্যায্যতার সঙ্গে পরিধেয় পোশাক নির্বাচন করা। পোশাকের মাধ্যমে ইসলামের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলা এবং আত্মসম্মান রক্ষা করা। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নত মেনে চলা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং শালীনতার প্রতীক। এটি কেবল আমাদের ব্যক্তি জীবনে নয়, সমাজে ইসলামের সঠিক চিত্র স্থাপন করবে।
Comments
Post a Comment