ভালোবেসে ফিরেছি মারকাযে
ভালোবেসে ফিরেছি মারকাযে
লিখেছেন: মুহাম্মদ মুনীরুজ্জামান ত্বলহা
আলহামদুলিল্লাহ! অবশেষে আমরা ফজরের পর মাদানীনগর থেকে রওনা দিয়েছি। আমাদের সফরসঙ্গী ছিল মোট ৯ জন: আমি, মাহদী, ইয়ামিন, ইউসুফ, হুযাইফা (যাত্রাবাড়ি), আতাউল্লাহ, মুজাহিদ ও সিয়াম।
আমরা নিলাচল বাসে ফজরের পর উঠে রওনা হই। জনপ্রতি ভাড়া নিয়েছে ১১০ টাকা। মাঝপথে বৃষ্টির কবলে পড়ে কিছুটা ধীরগতিতে চললেও অবশেষে আমরা সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে মাদ্রাসায় এসে পৌঁছাই।
আগেই ইয়ামিন ভাই লক্ষ্মীপুরী হুজুরের সাথে ফোনে কথা বলে রেখেছিল। আমরা গেন্ডায় বাসস্টপে নেমে দুটো রিকশা নিয়ে সোজা চলে যাই আমাদের প্রাণের মারকাজ—মারকাযুল ইলমি ওয়াদ দাওয়াহ বাংলাদেশ-এ।
লক্ষীপুরী হুজুর আমাদের দেখে অত্যন্ত খুশি হন। বহুদিন পর তাঁর হাতে গড়া ছাত্রদের দেখে তিনি আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন, ভালোবাসায় ভরিয়ে দেন, দোয়া দেন। আমরা হুজুরের সামনে বসে অনেকক্ষণ কথা বলি। তিনি আমাদেরকে নাস্তার দাওয়াত দেন, এবং আমরা সকালের নাস্তায় আলু ভর্তা, ডাল ইত্যাদি খাই।
এরপর আমরা কুমিল্লা হুজুরের সাথে সাক্ষাতের উদ্দেশ্যে যাই। আমার লেখা আল-জামিল পত্রিকায় যেটা প্রকাশ পেয়েছিল সেটা তাঁকে হাদিয়া দেই। সেইসাথে আমি কম্পোজ করা কিছু লেখাও তাঁকে প্রদান করি। হুজুর খুব খুশি হন, আমাকে উৎসাহ দেন এবং ভবিষ্যতের জন্য দোয়া করেন।
ইয়ামিন ও ইউসুফ পরে বরিশালের কবিরপুর মাদ্রাসায় রওনা দেয়। আমরা বাকি সবাই থাকি। আজ জুমার পর খাওয়া-দাওয়া শেষ করে ধীরে ধীরে আবার বের হব ইনশাআল্লাহ।
এই মাদ্রাসায় আমি ১২ বছর পড়েছি, আমার ভাইয়েরা ৬ বছর। কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে এখানে! কত মুহব্বতের বন্ধন, ওস্তাদদের সাথে হৃদয়ের সম্পর্ক। আমরা তাঁদের খুব ভালোবাসি, তাঁরাও আমাদের। আল্লাহ তাআলা এই ভালোবাসাকে চিরকাল টিকিয়ে রাখুন এবং আমাদের প্রায়ই আসার তাওফিক দান করুন—আমীন।
Comments
Post a Comment